{Why is divorce increasing?” — The surprising results of a 12-month real-world study!}
Alt textলেখক: এস. এম. মাসুদ | প্রকাশের তারিখ: {{26-10-2025}}
📖 ভূমিকা
আজকের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক যেন এক নিঃশব্দ মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। যেখানেই তাকাই—ঘরে, বাজারে, অফিসে, এমনকি আত্মীয়তার মধ্যেও—শোনা যায় “তালাক হয়ে গেছে”, “সে এখন আলাদা থাকে”, “সংসার টেকেনি” এই ধরনের বাক্য।
কিন্তু প্রশ্ন হলো — তালাকের এই প্রবণতা কেন বাড়ছে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ৯ মাসের একটি ছোট কিন্তু বাস্তবধর্মী গবেষণা করা হয়েছে। এতে ২৪৫ জন তালাকপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলা হয়, তাদের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি ও অনুশোচনা শোনা হয় নিবিড়ভাবে
🔍 বিস্তারিত আলোচনা
🕌 টাইটেল:
“তালাক কেন বাড়ছে?” — 12 মাসের বাস্তব গবেষণার চমকপ্রদ ফলাফল
✍️ ভূমিকা:
আজকের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক যেন এক নিঃশব্দ মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। যেখানেই তাকাই—ঘরে, বাজারে, অফিসে, এমনকি আত্মীয়তার মধ্যেও—শোনা যায় “তালাক হয়ে গেছে”, “সে এখন আলাদা থাকে”, “সংসার টেকেনি” এই ধরনের বাক্য।
কিন্তু প্রশ্ন হলো — তালাকের এই প্রবণতা কেন বাড়ছে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ৯ মাসের একটি ছোট কিন্তু বাস্তবধর্মী গবেষণা করা হয়েছে। এতে ২৪৫ জন তালাকপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলা হয়, তাদের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি ও অনুশোচনা শোনা হয় নিবিড়ভাবে।
📊 গবেষণার সংক্ষিপ্ত ফলাফল:
🧠 ৭২% তালাক হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি, অহংকার, এবং একে অপরকে সম্মান না করার কারণে।
❤️ ১৮% তালাকের মূল কারণ পরকীয়া সম্পর্ক।
💍 ১০% তালাক ঘটেছে স্ত্রীর অতিরিক্ত বিলাসিতা ও অবাস্তব চাহিদার কারণে।
⚖️ আশ্চর্যের বিষয় — ৭৮% ক্ষেত্রে নারী দায়ী, আর ২২% ক্ষেত্রে দায়ী পুরুষ।
🕵️♂️ তালাকের পেছনের মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ
১️⃣ পারস্পরিক সম্মানের অভাব ও অহংকার
দাম্পত্য জীবনের মূলে আছে “সম্মান” ও “সহনশীলতা”। কিন্তু আজকের অনেক সংসারে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী কেউ কাউকে ছাড় দিতে চান না।
“আমি কেন ক্ষমা চাইবো?”
“আমি সবসময় ঠিক।”
এই মানসিকতা থেকেই শুরু হয় দূরত্ব। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় ঠাণ্ডা যুদ্ধ, এরপর বিচ্ছেদে।
অনেক নারী বলেন, “স্বামী আমার কথা শুনে না।” আবার পুরুষরা বলেন, “স্ত্রী সবসময় আমাকে ছোট করে।”
এই ego clash—অহংকারের সংঘর্ষই—সবচেয়ে বড় ধ্বংসের বীজ।
২️⃣ পরকীয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব
ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টিকটক—এইসব ভার্চুয়াল জগত অনেক সম্পর্কের জন্য বিষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৮% তালাকের কারণ ছিল পরকীয়া বা অতি ঘনিষ্ঠতা অন্য কারও সঙ্গে।
অনেকে বলে, “ও শুধু বন্ধুত্ব ছিল,” কিন্তু এই তথাকথিত বন্ধুত্বই ধীরে ধীরে সম্পর্কের ভিত্তি নষ্ট করে দেয়।
বিশ্বাস ভাঙে একবারই — আর তখন আর কিছু ঠিক থাকে না।
৩️⃣ অতিরিক্ত চাহিদা ও বিলাসিতা
অনেক স্ত্রী বা স্বামী এমন জীবনযাপন চায় যা বাস্তবের সঙ্গে যায় না।
“ওর বউ গাড়িতে যায়, আমিও চাই।”
“ওর স্বামী দামী গিফট দেয়, তুমি দাও না কেন?”
এই তুলনামূলক চিন্তাই জন্ম দেয় অশান্তি।
ফলাফল — ১০% সংসার ভেঙে গেছে অযৌক্তিক চাহিদার চাপে।
৪️⃣ পারিবারিক হস্তক্ষেপ
বাংলাদেশে এখনো অনেক বিয়ে হয় “পরিবারের পছন্দে”, কিন্তু তালাকের বড় একটি কারণ হলো শ্বশুরবাড়ি বা বাপের বাড়ির অতি হস্তক্ষেপ।
অনেক সময় দেখা যায়, মা-বাবা বা ভাই-বোনের অতিরিক্ত পরামর্শ দাম্পত্য জীবনের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দেয়।
“আমার মা বলেছে এভাবে করো”, “তোমার বোন সব জানে”—এসব বাক্যই সম্পর্কের মধ্যে দেয়াল তুলে দেয়।
৫️⃣ ধর্মীয় শিক্ষা ও ধৈর্যের অভাব
বিবাহ কেবল ভালোবাসার বন্ধন নয়, এটি একটি ইবাদত। কিন্তু অনেকেই জানে না—
🔹 কিভাবে সহনশীল হতে হয়,
🔹 কিভাবে বিবাদ মিটাতে হয়,
🔹 কিভাবে ক্ষমা করতে হয়।
ধৈর্য, দোয়া, আল্লাহর ভয়—এই তিন জিনিস হারিয়ে ফেলায় এখন তালাক যেন খুব সহজ বিষয় হয়ে গেছে।
💔 তালাকের পর অনুশোচনা
গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৪৫ জনের মধ্যে ৯২% নারী ও পুরুষই স্বীকার করেছেন, তারা তালাকের পর গভীর অনুশোচনায় ভুগছেন।
তাদের মুখে একটাই কথা—
> “সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল... যদি আরেকটু ধৈর্য ধরতাম!”
তালাকের পরে তারা বুঝেছেন,
একা থাকা মানে শুধু স্বাধীনতা নয়, নিঃসঙ্গতা;
সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়;
সমাজের চোখে বদলে যায় পরিচয়।
👩🦰 তালাকের পর নারীদের বাস্তবতা
📉 ৮৯% নারী দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারছে না — সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাসের সংকটে।
💔 ৪% নারী নিজের ইচ্ছায় বিয়ে এড়িয়ে চলছে — কারণ তারা আর কোনো সম্পর্কের ঝুঁকি নিতে চায় না।
🚫 ৭% নারী ভুল পথে চলে গেছে — অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সমাজের অবহেলায়।
একজন তালাকপ্রাপ্ত নারী বলেছিলেন—
> “আমি খারাপ ছিলাম না, কিন্তু সমাজ আমাকে খারাপ বানিয়ে ফেলল।”
এই কথায় ফুটে ওঠে বাস্তবতার নির্মমতা।
👨🦱 তালাকের পর পুরুষদের অবস্থা
💍 ৮৫% পুরুষ দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেছে।
😶 ১৩% পুরুষ বলেছেন, তারা আর বিয়েতে আগ্রহী নন।
⚠️ ২% পুরুষ পথভ্রষ্ট জীবনে জড়িয়ে পড়েছে — মানসিক হতাশা ও একাকীত্বের কারণে।
কিন্তু এখানে একটি আশ্চর্য তথ্য পাওয়া গেছে—
৬৭% পুরুষ কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেছে,
অন্যদিকে নারীরা কুমার পুরুষ পেয়েছে মাত্র ০.১% ক্ষেত্রে!
অর্থাৎ সমাজ এখনো নারীদের প্রতি দ্বিতীয় সুযোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করছে।
💔 দ্বিতীয় বিয়ের বাস্তবতা
🔸 ১২% নারী দ্বিতীয় বিয়েতেও তালাকপ্রাপ্ত।
🔸 ৮৯% নারী দ্বিতীয় সংসারে অসুখী, হয় স্বামীর অবহেলা, নয়তো আগের সম্পর্কের ভীতি থেকে।
অন্যদিকে—
🔹 মাত্র ২% পুরুষ দ্বিতীয়বার তালাক দিয়েছে,
🔹 এবং ৩% পুরুষ দ্বিতীয় সংসারে অসুখী।
সবচেয়ে অবাক করা তথ্য —
> দ্বিতীয়বার তালাক দেওয়া পুরুষদের স্ত্রীরা প্রায় সবাই আগের তালাকপ্রাপ্ত নারী!
কিন্তু যারা বিধবা নারীকে বিয়ে করেছে, তাদের ৯৩% পুরুষই সুখী সংসার করছে।
এ থেকে বোঝা যায় —
একজন নারীর অতীত নয়, তার চরিত্র ও মানসিকতা সংসার টিকিয়ে রাখে।
🌿 তালাকের সামাজিক প্রভাব
তালাক কেবল দুই ব্যক্তির সম্পর্কের সমাপ্তি নয়।
এটা ভেঙে দেয় —
একটি পরিবারের শান্তি,
একটি শিশুর ভবিষ্যৎ,
সমাজের ভারসাম্য।
তালাকপ্রাপ্ত দম্পতির সন্তানরা প্রায়শই বিভ্রান্ত, মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়ে।
তাদের মধ্যে দেখা যায় —
🔹 আত্মবিশ্বাসের অভাব,
🔹 সামাজিক ভয়,
🔹 এবং সম্পর্কের প্রতি অবিশ্বাস।
💡 করণীয়: তালাক রোধে করণীয় পদক্ষেপ
১️⃣ দাম্পত্য জীবনে নিয়মিত খোলামেলা আলোচনা করুন।
২️⃣ একজন অপরজনের মতামত ও অনুভূতিকে মূল্য দিন।
৩️⃣ বিবাদ হলে ধর্মীয় ও পারিবারিক সমাধান খুঁজুন, আদালত নয়।
৪️⃣ মোবাইল, ফেসবুক, বা অন্য সম্পর্ক যেন মূল সংসার নষ্ট না করে, তা খেয়াল রাখুন।
৫️⃣ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি মানসিক সংযমও প্রয়োজন।
৬️⃣ আল্লাহর ভয় রাখুন—তালাক তাঁর সবচেয়ে অপছন্দের বৈধ কাজ।
🕊️ উপসংহার
তালাক কোনো সহজ সমাধান নয়।
এটা জীবনের এক মোড়, যেখানে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে অনুশোচনার শেষ থাকে না।
যারা তালাক দিয়েছেন তারা জানেন—
ভালোবাসা হারানো যায়, কিন্তু স্মৃতি কখনও মুছে যায় না।
চলুন, সম্পর্ককে রক্ষা করি ভালোবাসা, সম্মান ও সহনশীলতার মাধ্যমে।
কারণ,
> “তালাক শুধু দুটি জীবনের বিচ্ছেদ নয়,
এটা ভেঙে দেয় একটি পরিবারের শান্তি,
একটি শিশুর ভবিষ্যৎ, আর সমাজের ভারসাম্য।”
✍️ লেখক: এস. এম. মাসুদ | সূত্র: NewsBD1964

0 Comments
Emoji🌐 newsbd1964 – নির্ভরযোগ্য খবর ও তথ্যের ভরসাস্থল
আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এই বাস্তবতায় newsbd1964 গড়ে উঠেছে এক বিশ্বাসযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, যেখানে পাঠক পান বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাম্প্রতিক খবর, সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস ও জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে যাচাই করা তথ্য ও বিশ্লেষণ।
আমাদের লক্ষ্য একটাই—পাঠকদের সামনে সত্য তুলে ধরা, কিন্তু সংবেদনশীলতা ও মানবিকতা বজায় রেখে। আমরা বিশ্বাস করি, সচেতন নাগরিকই সমাজের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। তাই newsbd1964 কেবল খবর প্রকাশ করে না; বরং প্রতিটি বিষয়ের পেছনের বাস্তবতা ও প্রভাব বিশ্লেষণ করে পাঠকদের চিন্তা করার সুযোগ করে দেয়।
সমাজ বিষয়ক রিপোর্টে আমরা তুলে ধরি মানুষের জীবনের বাস্তব চিত্র, তাদের সাফল্য ও সংগ্রামের গল্প। শিক্ষা বিভাগে থাকে নতুন প্রজন্মের জন্য দিকনির্দেশনা, পরীক্ষার আপডেট, ক্যারিয়ার পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের খবর। ইতিহাস বিভাগে পাঠকরা খুঁজে পান অতীতের অজানা অধ্যায়—যা বর্তমানকে বুঝতে সাহায্য করে। আর জীবনধারা বিভাগে থাকে স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, সম্পর্ক, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের নানা টিপস, যা প্রতিদিনের জীবনকে আরও সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।
আমরা খবর সংগ্রহ করি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এবং প্রকাশের আগে যাচাই করি তথ্যের সত্যতা। গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে দূরে থেকে newsbd1964 সবসময় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতি পালন করে।
বর্তমান যুগে যখন অনেক ওয়েবসাইট ক্লিক ও ভিউয়ের প্রতিযোগিতায় সত্যকে আড়াল করে, তখন newsbd1964 দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—বিশ্বাসই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই আমাদের প্রতিটি প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ ও ফিচার লেখার পেছনে থাকে একটি উদ্দেশ্য—পাঠক যেন সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পান, এবং সেটি যেন সহজ ভাষায় সবার কাছে পৌঁছে যায়।
আপনি যদি জানতে চান বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাম্প্রতিক খবর, সমাজের চলমান প্রবণতা, শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন দিকনির্দেশনা, কিংবা অতীতের ইতিহাস ও জীবনধারার বাস্তব অভিজ্ঞতা—তাহলে newsbd1964 হবে আপনার প্রতিদিনের জ্ঞানের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।