What is the duty of a child in caring for and serving sick parents in Islam? Explanation of the Quran and Hadith!

{What is the duty of a child in caring for and serving sick parents in Islam? Explanation of the Quran and Hadith!}

লেখক: এস. এম. মাসুদ | প্রকাশের তারিখ: {{27-10-2025}}



📖 ভূমিকা



Alt text 


Newsbd1964 





🧭👉ইসলামের দৃষ্টিতে অসুস্থ পিতা-মাতার যত্ন ও সেবায় সন্তানের কর্তব্য কী? কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা

অসুস্থ পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কুরআন ও হাদীসে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—সন্তান যেন পিতা-মাতার প্রতি দয়া, সম্মান, যত্ন ও সেবা প্রদর্শন করে, বিশেষত যখন তাঁরা বার্ধক্য বা অসুস্থতায় ভুগছেন। নিচে বিষয়টি কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—

🌿 ১️⃣ কুরআনের আলোকে সন্তানের দায়িত্ব

🔹 (ক) আল্লাহর আদেশ – পিতা-মাতার প্রতি উত্তম আচরণ

> القرآن الكريم:
"وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا"
(সূরা আল-ইসরা: আয়াত ২৩)

🔸 অর্থ:
তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তাঁরই ইবাদত করো এবং পিতা-মাতার প্রতি উত্তম আচরণ করো। যদি তোমার কাছে তাঁদের কেউ অথবা উভয়েই বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের ‘উফ’ বলো না এবং তাদের ধমক দিও না; বরং তাদের সঙ্গে সম্মানজনকভাবে কথা বলো।

📖 এই আয়াত স্পষ্ট করে দেয়—

বার্ধক্য বা অসুস্থতার সময় তাদের ধৈর্যসহকারে সেবা করা সন্তানের ধর্মীয় দায়িত্ব।

তাদের প্রতি রুক্ষ আচরণ, বিরক্তি প্রকাশ বা কণ্ঠ উঁচু করা মারাত্মক গোনাহ।

🔹 (খ) দোয়া ও দয়ার নির্দেশ

> "وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا"
(সূরা আল-ইসরা: আয়াত ২৪)

🔸 অর্থ:
আর দয়ার ডানায় তাদের প্রতি বিনয় প্রকাশ করো এবং বলো—‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো যেমন তারা শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছিলেন।’

📖 এখানে আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন—

শুধু সেবাই নয়, দোয়া করাও সন্তানদের দায়িত্ব।

তাদের সেবায় বিনয়, করুণা ও কৃতজ্ঞতা থাকা জরুরি।

🌿 ২️⃣ হাদীসের আলোকে সন্তানের কর্তব্য

🔹 (ক) পিতা-মাতার সেবা জিহাদের চেয়ে উত্তম

> এক সাহাবি নবী (সা.)-এর কাছে এসে বললেন,
“হে আল্লাহর রাসূল, আমি জিহাদে যেতে চাই।”
রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার পিতা-মাতা জীবিত আছেন?”
তিনি বললেন, “হ্যাঁ।”
নবী (সা.) বললেন, “তাহলে তাদের সেবা করাই তোমার জন্য জিহাদ।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস: ৩০০৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৪৯)

📖 অর্থাৎ, অসুস্থ বা বৃদ্ধ পিতা-মাতার পাশে থেকে সেবা করা জিহাদের সমতুল্য সওয়াবের কাজ।

🔹 (খ) পিতা-মাতাকে কষ্ট দেওয়া মারাত্মক গুনাহ

> নবী করিম (সা.) বলেছেন—
“আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মধ্যে, আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতা-মাতার অসন্তুষ্টির মধ্যে।”
(তিরমিজি, হাদীস: ১৮৯৯)

📖 তাই অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের প্রতি রাগ, অবহেলা বা বিরক্তি প্রকাশ করা আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ।

🔹 (গ) মৃত্যুর পরও দায়িত্ব শেষ নয়

> নবী (সা.) বলেছেন—
“মানুষ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি জিনিস ছাড়া —
১️⃣ সদকায়ে জারিয়া,
২️⃣ এমন উপকারী জ্ঞান,
৩️⃣ এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৬৩১)

📖 অর্থাৎ পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও তাদের জন্য দোয়া করা সন্তানদের কর্তব্য।

🌿 ৩️⃣ অসুস্থ পিতা-মাতার প্রতি করণীয়

✅ ১. যত্ন ও সেবায় আন্তরিক থাকা

– তাঁদের ওষুধ, খাবার, বিশ্রাম ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
– নিজের কাজের চেয়ে তাঁদের স্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়া।

✅ ২. মানসিক প্রশান্তি দেওয়া

– ধৈর্যসহ তাঁদের কথা শোনা।
– একা বা অসহায় বোধ না করতে দেওয়া।

✅ ৩. সম্মানজনক আচরণ করা

– কণ্ঠস্বর নিচু রাখা, রূঢ় শব্দ ব্যবহার না করা।
– তাঁদের সামনে বিতর্ক বা রাগ প্রদর্শন না করা।

✅ ৪. দোয়া ও ইস্তেগফার করা

– আল্লাহর কাছে তাঁদের শিফা (আরোগ্য) চাওয়া।
– তাঁদের জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর নিয়মিত দোয়া করা।

🌿 ৪️⃣ অসুস্থ পিতা-মাতার সেবার পুরস্কার

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

> “আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছি…
আমার কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে, এবং আমি তোমাদের কাজের প্রতিদান জানাব।”
(সূরা আনকাবুত: ৮)

📖 অর্থাৎ, অসুস্থ পিতা-মাতার সেবা করার বিনিময়ে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন, দুনিয়াতে বরকত দেন, আখিরাতে জান্নাত দান করেন।

🌿 উপসংহার:

📜 অসুস্থ পিতা-মাতার যত্ন, সেবা ও সম্মান করা শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়—এটি ইসলামী ফরজের অন্তর্ভুক্ত।
যে সন্তান ধৈর্য, ভালোবাসা ও সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সেবা করে, সে জান্নাতের সবচেয়ে কাছের পথ অনুসরণ করে।
আর যে অবহেলা করে, সে আল্লাহর রোষানলে পড়ে। 


✍️ লেখক: স. ম. মাসুদ | সূত্র: NewsBD1964

Post a Comment

0 Comments