async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-…"> News BD 1964

Showing posts from November 28, 2025

নারীর যোনি যত্ন: স্ট্রেস রিলিফ, পেশি শক্তি ও স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখার পরামর্শ

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ নারীর যোনি যত্ন: স্ট্রেস রিলিফ, পেশি শক্তি ও স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখার পরামর্শ }} …

ঘরোয়া প্রতিকার ও সুস্থ থাকার উপায়: বমি, গ্যাস্ট্রিক, জন্ডিস, কাশি, ত্বক ও চুলের জন্য প্রাকৃতিক সমাধান

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ ঘরোয়া প্রতিকার ও সুস্থ থাকার উপায়: বমি, গ্যাস্ট্রিক, জন্ডিস, কাশি, ত্বক ও চুলের জন্য প্রাক…

অলৌকিক সকালের পানীয়: ভেজানো মধু, মেথি, হলুদ, দুধ, দারুচিনি, খেজুর ও এলাচের অবিশ্বাস্য উপকারিতা।

bySMMasud1964 -November 28, 2025

🇧🇩This post discusses main topic in detail. Discover the benefits, uses, and important insigh…

চোখের ক্ষমতা বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়: লবঙ্গ, কিসমিস ও হলুদ দিয়ে চোখের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করুন।

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ চোখের ক্ষমতা বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়: লবঙ্গ, কিসমিস ও হলুদ দিয়ে চোখের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি কর…

লিভার সুস্থ রাখতে মাসে একবার: পুদিনা, লেবু ও বিটলবনের ম্যাজিক্যাল ডিটক্স উপকারিতা

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ লিভার সুস্থ রাখতে মাসে একবার: পুদিনা, লেবু ও বিটলবনের ম্যাজিক্যাল ডিটক্স উপকারিতা }} Autho…

লবঙ্গ-কিসমিস ভেজানো পানি ও হলুদের অসাধারণ শক্তি: চোখের পাওয়ার বাড়ানো, ক্লান্তি হ্রাস, উপকারিতা-রেসিপি-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসহ পূর্ণ গাইড।

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ লবঙ্গ-কিসমিস ভেজানো পানি ও হলুদের অসাধারণ শক্তি: চোখের পাওয়ার বাড়ানো, ক্লান্তি হ্রাস, উপকা…

আদা–থানকুনি–রসুন–কালোজিরা–মধুর ডিটক্স মিশ্রণ: কোলাজেন বৃদ্ধি, ত্বক টানটান ও বয়সের ছাপ কমাতে বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকর উপায়।

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ আদা–থানকুনি–রসুন–কালোজিরা–মধুর ডিটক্স মিশ্রণ: কোলাজেন বৃদ্ধি, ত্বক টানটান ও বয়সের ছাপ কমাতে …

সকালের সুপার ডিটক্স ড্রিঙ্ক: কালোজিরা, হলুদ, মেথি, তিষি, লবঙ্গ ও দারুচিনি পানির অজানা উপকারিতা—নখ, চুল ও ত্বক হবে আরও স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{সকালের সুপার ডিটক্স ড্রিঙ্ক: কালোজিরা, হলুদ, মেথি, তিষি, লবঙ্গ ও দারুচিনি পানির অজানা উপকারিত…

রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া হলুদ, মেথি ও মধুর পানি: রোগপ্রতিরোধ, হজমশক্তি ও ডিটক্সের ১২টি প্রমাণভিত্তিক উপকারিতা

bySMMasud1964 -November 28, 2025

{{ রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া হলুদ, মেথি ও মধুর পানি: রোগপ্রতিরোধ, হজমশক্তি ও ডিটক্সের ১২টি প্রম…

সরিষার প্রকারভেদ, উপকারিতা–অপকারিতা ও ঘরে তৈরি কাসুন্দির সব রেসিপি

সরিষা কত প্রকার ও সরিষার উপকারিতা–অপকারিতা সহ ঘরে তৈরি কাসুন্দির সকল রেসিপি

সরিষা বাঙালি রান্নার প্রাণ। ভর্তা, মাছের ঝোল, ভাজি, আচার, পিকল, ভুনা—সবকিছুর স্বাদই বদলে দেয় এক চিমটি সরিষা। শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি নয়, সরিষার পাতা, বীজ ও তেল তিনিই স্বাস্থ্য ও ওষুধি গুণে ভরপুর। এছাড়া বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইড-ডিশ কাসুন্দি তৈরির প্রধান উপাদানও সরিষা।

এই বিস্তৃত গাইডে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো— সরিষার ধরন, পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা, রান্নায় ব্যবহার, সৌন্দর্যচর্চায় উপকারিতা এবং কাসুন্দির ৫টি জনপ্রিয় রেসিপি।

সরিষা কত প্রকার?

সারা বিশ্বে সরিষার তিনটি প্রধান প্রজাতি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এগুলোর প্রতিটির স্বাদ, ঝাঁঝ, রঙ ও ব্যবহারের ধরণ আলাদা।

১. সাদা সরিষা (White Mustard – Sinapis alba)

রঙ: হালকা হলুদ
স্বাদ: কম ঝাঁঝালো
ব্যবহার: পিকল, ড্রেসিং, সস
গন্ধ: অন্যান্য সরিষার তুলনায় মৃদু

২. কালো সরিষা (Black Mustard – Brassica nigra)

রঙ: গাঢ় বাদামি বা কালো
স্বাদ: সবচেয়ে ঝাঁঝালো
ব্যবহার: বাঙালি ও ভারতীয় রান্নায় বেশি জনপ্রিয়
কাসুন্দি তৈরিতে সবচেয়ে উপযোগী

৩. ব্রাউন সরিষা (Brown Mustard – Brassica juncea)

রঙ: বাদামি
স্বাদ: মাঝারি ঝাঁঝ
ব্যবহার: চাইনিজ, জাপানিজ ও কোরিয়ান রান্না
মাস্টার্ড পেস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত

সরিষার পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষা বীজে পাওয়া যায়:

ক্যালোরি: ৫০৮
প্রোটিন: ২৬ গ্রাম
ফ্যাট: ৩৬ গ্রাম (উপকারী ফ্যাট)
ফাইবার: ১২ গ্রাম
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন
Omega-3 ফ্যাটি এসিড
ফাইটো-কেমিক্যাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

এ সকল উপাদান সরিষাকে স্বাস্থ্যকর মশলা হিসেবে অনন্য করে তুলেছে।

সরিষার উপকারিতা (Mustard Benefits)

সরিষা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না—বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরিষার বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে।

১. হজম শক্তি উন্নত করে

সরিষার ঝাঁঝালো বৈশিষ্ট্য হজম এনজাইম বাড়ায়, গ্যাস, পেট ফাঁপা কমায় এবং খাবার হজমে সহায়তা করে।

২. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

সরিষা তেলে আছে স্বাস্থ্যকর monounsaturated fat, যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়।

৩. ব্যথা ও প্রদাহ কমায়

সরিষা অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। জয়েন্ট পেইন, হাঁটু ব্যথা, ঘাড়-কাঁধ ব্যথায় সরিষা তেল মালিশ কার্যকর।

৪. কাশি–সর্দি কমায়

গরম সরিষা তেল মালিশ শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা–কাশিতেও উপকারী।

৫. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

সরিষা তেলে রয়েছে ভিটামিন–ই, যা স্কিন সফট করে এবং চুল পড়া কমায়। মাথায় রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে চুল ঘন করে।

৬. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক

সরিষার ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

সরিষা তেল ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

৮. শরীরের প্রদাহ কমায়

আর্থ্রাইটিস ও মাংসপেশির ব্যথায় সরিষা তেল কার্যকর।

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন–সি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।

১০. রক্তসঞ্চালন উন্নত করে

সরিষা তেলের গরম প্রকৃতি শরীর উষ্ণ রাখে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়।

সরিষার অপকারিতা (Mustard Side Effects)

যেমন উপকার আছে, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে সরিষার কিছু ক্ষতিও হতে পারে।

অতিরিক্ত খেলে পেট জ্বালা, অম্বল হতে পারে।
গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত সরিষা তেল খাওয়া ঠিক নয়।
ত্বকে সরাসরি লাগালে জ্বালা হতে পারে।
অতিরিক্ত তাপে রান্না করলে erucic acid তৈরি হয় যা হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
অ্যালার্জি আছে—এমন ব্যক্তি সরিষা এড়িয়ে চলা উচিত।

কাসুন্দি কী?

কাসুন্দি হলো সরিষা বীজ, লবণ, মরিচ, রসুন এবং অন্যান্য মসলা দিয়ে তৈরি এক অনন্য স্বাদের ফারমেন্টেড পেস্ট। বাঙালির ভাত–ডিম–ভর্তা–মাছ যে কিছুর সাথেই কাসুন্দি দুর্দান্ত লাগে।

ঘরে তৈরি কাসুন্দির সেরা ৫ রেসিপি

১. বেসিক নোনতা কাসুন্দি (Basic Kasundi)

উপকরণ:

কালো সরিষা — ১ কাপ
হলুদ গুঁড়া — ১ চা-চামচ
লবণ — ১ টেবিল চামচ
রসুন — ৮ কোয়া
কাঁচা মরিচ — ৬টি
ভিনেগার — ২ টেবিল চামচ
পানি — প্রয়োজনমতো

প্রস্তুত প্রণালী:

সরিষা ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
সব উপকরণ ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট বানান।
কাচের জারে রেখে ২ দিন রোদে দিন—ফারমেন্ট হয়ে আসল কাসুন্দির স্বাদ হবে।

২. কাঁচা আমের কাসুন্দি (Aam Kasundi)

উপকরণ:

কাঁচা আম কুঁচি — ১ কাপ
কালো সরিষা — ½ কাপ
রসুন — ৬ কোয়া
কাঁচা মরিচ — ৫টি
লবণ — স্বাদমতো
হলুদ — ১ চা-চামচ

প্রস্তুত প্রণালী:

সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।
কাচের বোতলে রেখে ১–২ দিন রোদে রাখলে টক–ঝাল কাসুন্দির আসল স্বাদ পাবেন।

৩. ধনেপাতার কাসুন্দি (Dhonepata Kasundi)

উপকরণ:

ধনেপাতা — ১ কাপ
সরিষা — ½ কাপ
রসুন — ৪ কোয়া
কাঁচা মরিচ — ৩টি
লবণ — ১ টেবিল চামচ
ভিনেগার — ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালী:

সব উপকরণ মিহি করে পিষে নিন।
এটি তাৎক্ষণিক খেতেই সবচেয়ে ভালো।

৪. ঝাল কাসুন্দি (Spicy Red Kasundi)

উপকরণ:

সরিষা — ½ কাপ
লাল মরিচ গুঁড়া — ২ টেবিল চামচ
রসুন — ৫ কোয়া
লবণ — ১ চা-চামচ
ভিনেগার — ১ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালী:

সব উপকরণ ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট বানান।
২ দিন রোদে রাখলে ঝাল–ঘ্রাণ আরও তীব্র হবে।

৫. টমেটো কাসুন্দি (Tomato Kasundi)

উপকরণ:

টমেটো — ১ কাপ (কুঁচি)
সরিষা — ½ কাপ
লাল মরিচ গুঁড়া — ১ টেবিল চামচ
হলুদ — ½ চা-চামচ
রসুন — ৪ কোয়া
লবণ — স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালী:

টমেটো হালকা সিদ্ধ করে নিন।
সরিষা ভিজিয়ে সব উপকরণ একসাথে পিষে নিন।
হালকা গরম করে বোতলে সংরক্ষণ করলে বেশি দিন ভালো থাকে।

কাসুন্দি সংরক্ষণের নিয়ম

কাঁচের জারে রাখুন—প্লাস্টিক নয়।
২ দিন রোদে দিলে ফারমেন্টেশন ঠিকমতো সম্পন্ন হবে।
ফ্রিজে রাখলে ২–৩ মাস ভালো থাকে।
চামচ সবসময় শুকনো ব্যবহার করুন।

শেষ কথা

সরিষা শুধুমাত্র মশলা নয়—একটি প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদান। এর সঠিক ব্যবহার শরীরের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকাও করতে পারে। এছাড়া কাসুন্দির ক্ষুদ্র একটি চামচও যে কোনো খাবারের স্বাদ পাল্টে দিতে পারে। আপনি চাইলে উপরের ৫টি রেসিপির যেকোনোটি ব্যবহার করে ঘরেই একদম রেস্টুরেন্ট-স্টাইল কাসুন্দি তৈরি করতে পারবেন।