লিভারের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি!

Content লিভারের সমস্যা (যেমন: ফ্যাটি লিভার, লিভার দুর্বলতা, লিভার পরিষ্কার হওয়া ইত্যাদি) কমানোর জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক কাজে আসে। তবে আগে বলে রাখি— যদি লিভারের সমস্যা গুরুতর হয় (যেমন সিরোসিস, হেপাটাইটিস, লিভার এনজাইম খুব বেড়ে যাওয়া) তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ✅ লিভারের যত্নে কার্যকর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ১.লেবু ও গরম পানি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে আধা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে লিভার ডিটক্স হয়। ভিটামিন সি লিভারের টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ২.গ্রিন টি বা সবুজ চা গ্রিন টি-তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Catechins) থাকে, যা লিভারের ফ্যাট জমা কমায়। দিনে ১–২ কাপ খেতে পারেন। ৩.রসুন রসুনে সালফার যৌগ থাকে যা লিভারের এনজাইম সক্রিয় করে। নিয়মিত কাঁচা রসুনের ১–২ কোয়া সকালে খাওয়া ভালো। ৪.হলুদ (টারমেরিক) হলুদে "কারকিউমিন" থাকে, যা লিভারের প্রদাহ কমায়। এক চা চামচ হলুদ গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়া উপকারী। ৫.করলা বা করলার রস করলার রস লিভার পরিষ্কার করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। সকালে খালি পেটে অল্প করলার রস খাওয়া যেতে পারে। ৬.আপেল আপেলে পেকটিন ফাইবার থাকে, যা লিভার থেকে টক্সিন পরিষ্কার করে। প্রতিদিন ১টা আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৭.কলমি শাক ও লাল শাক এসব শাক লিভার পরিষ্কার করে, রক্তশূন্যতা দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। ৮.শসা ও গাজরের জুস লিভারের ফ্যাট কমাতে ও ডিটক্সে সাহায্য করে। শসা, গাজর ও বিট একসাথে ব্লেন্ড করে খেলে লিভারের জন্য ভালো। ৯.অ্যালোভেরা জেল অ্যালোভেরা লিভারের প্রদাহ কমায় এবং ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। সকালে অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা জুস খাওয়া যেতে পারে। ১০.পর্যাপ্ত পানি লিভারকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস পানি খাওয়া সবচেয়ে জরুরি। 🚫 যেসব জিনিস এড়িয়ে চলা দরকার অতিরিক্ত তেল, ভাজা-পোড়া খাবার সফট ড্রিঙ্কস ও অতিরিক্ত চিনি মদ্যপান ধূমপান খুব বেশি ওষুধ (যা লিভারে চাপ ফেলে)

Post a Comment

0 Comments