মরিচ কতো প্রকার ও কি কি? 🌸

🇱🇷This post discusses main topic in detail. Discover the benefits, uses, and important insights about main keyword👉
Content Blogg>S M Masud: 🧭👉মরিচের সাথে আত্মীয়তার আপ্যায়ন, (পর্ব প্রথম) ✅👉🌸 খুব সুন্দর একটি ছবি দিয়েছেন 🌶️। এখানে বিভিন্ন রঙ ও আকারের মরিচ একসাথে রাখা হয়েছে। মোটামুটি বলা যায়, এখানে ১০ রকমের মরিচ আছে। নামগুলো অঞ্চলভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে প্রচলিত নামগুলো নিচে দিলাম 1. সবুজ লম্বা মরিচ – সাধারণ কাঁচা মরিচ। 2. হলুদাভ কাঁচা মরিচ – আধা পাকা বা বিশেষ জাতের হালকা হলুদ মরিচ। 3. গাঢ় সবুজ ছোট মরিচ – ঝাল বেশি হয়, অনেকে "নাগা টাইপ" বা "দেশি মরিচ" বলে। 4. পাতলা সবুজ মরিচ – চিকন ও লম্বা, সাধারণত বেশি ঝাল। 5. হলুদ/সাদা মরিচ – ভিন্ন জাত, ঝালও বেশি। 6. গাঢ় বেগুনি মরিচ – বিশেষ জাত, সাজসজ্জার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। 7. কালচে শুকনো ধরণের মরিচ – শুকনো বা কালোচে রঙের মরিচ। 8. সবুজ গোল মরিচ – ছোট বেগুনের মতো দেখতে, তবে মরিচের জাত। 9. হালকা সবুজ ছোট মরিচ – ঝাল কম মাঝারি জাত। 10. সবুজ মোটা মরিচ – কিছুটা বড় আকৃতির, ঝাল কম হয়। 👉 প্রতিটা মরিচের আলাদা জাত/কাল্টিভার আছে। স্থানীয় ভাষায় এগুলোকে সাধারণত কাঁচা মরিচ, লাল-বেগুনি মরিচ, নাগা/ঝাল মরিচ, দেশি মরিচ, সাদা মরিচ, লম্বা মরিচ ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। মরিচের সাথে আত্মীয়তার আপ্যায়ন, (দ্বিতীয় পর্ব)✅👉🌸 অসাধারণ 🌶️👌 তাহলে চলুন একে একে প্রতিটি মরিচের জাত, ঝালের মাত্রা (Scoville Heat Unit – SHU), আর ব্যবহার সাজিয়ে দিই— 🔟 রকম মরিচের তালিকা ১. সবুজ লম্বা মরিচ ঝালের মাত্রা: 30,000 – 50,000 SHU ব্যবহার: ভর্তা, ভাজি, ভুনা, তরকারি, ডালের সাথে কাঁচা মরিচ। ২. হলুদাভ কাঁচা মরিচ ঝালের মাত্রা: 20,000 – 40,000 SHU ব্যবহার: তরকারি, ভর্তা, আচার (হালকা হলুদ রঙ খাবারে আলাদা সৌন্দর্য আনে)। ৩. গাঢ় সবুজ ছোট মরিচ (নাগা টাইপ/দেশি ঝাল মরিচ) ঝালের মাত্রা: 100,000 – 300,000 SHU (খুব ঝাল) ব্যবহার: আচার, ভর্তা, ঝাল বাড়ানোর জন্য অল্প পরিমাণে তরকারিতে। ৪. পাতলা চিকন সবুজ মরিচ ঝালের মাত্রা: 50,000 – 80,000 SHU ব্যবহার: সালাদ, তরকারি, সূপে ঝাঁজ বাড়ানোর জন্য। ৫. সাদা/হালকা হলুদ মরিচ ঝালের মাত্রা: 40,000 – 70,000 SHU ব্যবহার: আচার, ভর্তা, তরকারি (স্বাদ ঝাল ও সুগন্ধ আলাদা হয়)। ৬. গাঢ় বেগুনি মরিচ ঝালের মাত্রা: 20,000 – 40,000 SHU ব্যবহার: সাজসজ্জা, সালাদ, বিশেষ রান্নায়। (একটু ভিন্ন রঙের জন্য আচারেও দারুণ লাগে।) ৭. কালোচে/গাঢ় মরিচ ঝালের মাত্রা: 60,000 – 90,000 SHU ব্যবহার: শুকিয়ে গুঁড়া মরিচ, আচার, ভর্তা। ৮. সবুজ গোল মরিচ (কাঁচা ছোট বেগুনের মতো দেখতে) ঝালের মাত্রা: 10,000 – 30,000 SHU ব্যবহার: ভর্তা, আচার, ভাজি, মাংস রান্নায় কাটা কাটা দিয়ে দিলে স্বাদে ভিন্নতা আনে। ৯. হালকা সবুজ ছোট মরিচ ঝালের মাত্রা: 25,000 – 40,000 SHU ব্যবহার: তরকারি, ডালের সাথে, সালাদ। 🔟 মোটা সবুজ মরিচ (কম ঝাল জাত) ঝালের মাত্রা: 5,000 – 20,000 SHU ব্যবহার: ভর্তা, বড় করে কেটে তরকারিতে, আচার, এমনকি ভাজা। ✅ এভাবে দেখা যায়, ছবিতে থাকা মরিচগুলোর ঝাল কম থেকে শুরু করে অত্যন্ত ঝাল পর্যন্ত (5,000 – প্রায় 3 লক্ষ SHU পর্যন্ত) বিস্তৃত। ✅ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা স্বাদ ও বৈচিত্র্য তৈরি হয়। মরিচের সাথে আত্মীয়তার আপ্যায়ন, (তৃতীয় পর্ব)✅👉🌸 খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন 🌶️ মরিচ আসলে আমাদের খাদ্যে স্বাদ, গন্ধ, ঝাঁজ আনার পাশাপাশি শরীরের জন্য অনেক উপকারীতা ও কিছু অপকারীতাও আছে। ✅ মরিচের উপকারীতা ১. ভিটামিন ও খনিজের উৎস মরিচে ভিটামিন C, A, B6, K1, পটাশিয়াম, কপার থাকে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, চোখের জন্য ভালো। ২. হজমশক্তি বাড়ায় মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন হজম এনজাইম সক্রিয় করে, খাবার সহজে হজম হয়। ৩. ব্যথা কমায় ক্যাপসাইসিন নার্ভে ব্যথার সংকেত কমায়। এজন্য মরিচ থেকে তৈরি ক্যাপসাইসিন ক্রিম ব্যবহার হয় জয়েন্ট পেইন, পেশির ব্যথায়। ৪. রক্ত সঞ্চালন ভালো করে ঝাল মরিচ খেলে শরীর গরম হয়, রক্তনালী প্রশস্ত হয়। এতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। ৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে ঝাল মরিচ মেটাবলিজম বাড়ায়। শরীর অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করে। ৬. কোলেস্টেরল কমায় নিয়মিত মরিচ খেলে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে, ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ে। ৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাপসাইসিন কিছু ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। ৮. মেজাজ ভালো করে মরিচ খেলে শরীর থেকে এন্ডরফিন (হ্যাপিনেস হরমোন) বের হয়, মন ভালো থাকে। ❌ মরিচের অপকারীতা ১. অতিরিক্ত ঝাল খেলে হজমে সমস্যা বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, পেট জ্বালাপোড়া, ডায়রিয়া হতে পারে। ২. আলসার রোগীদের জন্য ক্ষতিকর যাদের আলসার, অম্বল, অতি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আছে, তাদের জন্য ঝাল মরিচ বিপজ্জনক হতে পারে। ৩. হেমোরয়েডস (পাইলস) বাড়াতে পারে মরিচ বেশি খেলে পাইলসের রোগীদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। ৪. ত্বক ও চোখে জ্বালা করে মরিচ হাত, চোখ, নাকে লাগলে প্রচণ্ড জ্বালা করে। ৫. কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে অতিরিক্ত ঝাল দীর্ঘদিন খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। ৬. অনিদ্রা ও মানসিক অশান্তি রাতে অতিরিক্ত মরিচ খেলে ঘুমে সমস্যা হতে পারে। 📌 সারসংক্ষেপ 👉 পরিমিত মরিচ খাওয়া শরীরের জন্য খুব উপকারী। 👉 কিন্তু অতিরিক্ত মরিচ খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক, আলসার বা পাইলস রোগীদের জন্য। মরিচের সাথে আত্মীয়তার আপ্যায়ন, (চতুর্থ পর্ব)👉✅♥️ দারুণ 🌶️👌 তাহলে মরিচের উপকারীতা ও অপকারীতা একসাথে টেবিল আকারে সাজিয়ে দিলাম— 🌶️ মরিচের উপকারীতা ও অপকারীতা বিষয় উপকারীতা ✅ অপকারীতা ❌ হজম হজমশক্তি বাড়ায়, খাবার দ্রুত হজম হয় অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক, পেট জ্বালা, ডায়রিয়া ভিটামিন ও পুষ্টি ভিটামিন C, A, B6, K1, পটাশিয়াম সরবরাহ করে অতিরিক্ত খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ ক্যাপসাইসিন জয়েন্ট পেইন ও স্নায়ুর ব্যথা কমায় বেশি ঝাল খেলে অস্বস্তি ও শরীর গরম হয়ে যায় রক্ত সঞ্চালন রক্তনালী প্রসারিত করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে রক্তচাপ কমে মাথা ঘোরা হতে পারে (যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয়) ওজন নিয়ন্ত্রণ মেটাবলিজম বাড়ায়, অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করে বেশি ঝাল খেলে ক্ষুধা কমে দুর্বলতা আসতে পারে কোলেস্টেরল খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায়, ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায় হৃদরোগীদের জন্য অতিরিক্ত ঝাল ক্ষতিকর হতে পারে ক্যান্সার প্রতিরোধ কিছু ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়ক সরাসরি ক্ষতিকর নয়, তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্যে এন্ডরফিন হরমোন বাড়ায়, মন ভালো করে বেশি খেলে অস্থিরতা ও অনিদ্রা হতে পারে ত্বক ও চোখ পরোক্ষভাবে কোনো উপকার নেই মরিচ হাত, চোখ বা নাকে লাগলে প্রচণ্ড জ্বালা করে পাইলস/আলসার রোগী স্বাভাবিক পরিমাণে সমস্যা নেই আলসার, গ্যাস্ট্রিক বা পাইলস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ✅ উপসংহার: পরিমিত পরিমাণে মরিচ খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী, তবে অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত।

Post a Comment

0 Comments